চোর ধরেছে সিবিআই ভয় পাচ্ছে দিদিভাই : কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

21st February 2021 10:28 pm বাঁকুড়া
চোর ধরেছে সিবিআই ভয় পাচ্ছে দিদিভাই : কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  দিদিভাইয়ের বাড়িতে এখন আগুন লেগেছে। চোর ধরেছে সিবিআই ভয় পাচ্ছে দিদিভাই। দিদিভাই এর ভয় বেড়েই যাচ্ছে আর সে ভয় পেয়ে যা না তাই বলছেন, এ ভাষাতেই মমতা ব্যানার্জি কে আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

আজ বাঁকুড়া কোতুলপুর এর বিজেপির পরিবর্তন যাত্রার রথ এসে পৌঁছায়। এরপরই এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ একযোগে তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিএম কে আক্রমণ শানিয়েছেন। যেখানে বিজেপি রাজ্য সভাপতি একযোগে মমতা ব্যানার্জি অভিষেক ব্যানার্জি এবং অভিষেক ব্যানার্জীর স্ত্রীর কে লক্ষ্য করে বলেন, উনি বলছেন আমাকে মারলে মারুন, গালাগালি দেন। বাচ্চাদের কষ্ট দেবেন না। বাচ্চাকে ভাইপো। বাচ্চা সে আবার বড় বড় ডায়লগ মারে।বাচ্চা আবার বলছে বউকে কষ্ট দেবেন না। আচ্ছা বউ সোনা চুরি করতে পারে ! সবে তো শুরু দেখুন না ধীরে ধীরে কি হয়। এ তো পেহেলি ঝাঁকি হে, পুরি ফিল্ম আভি বাকি হে বলে হিন্দি সিনেমার ডায়লগ আওড়ান।

দিল্লি থেকে প্যারামিলিটারি বাহিনী আসবে, বুথ পাহারা দেবে। কোন গুন্ডা বদমাইশ কে দাদাগিরি করতে দেওয়া হবে না। পুলিশকে বুথের কাছে যেতে দেওয়া হবে না। দুরে বাঁশ গাছের তলে চেয়ার দিয়ে দেওয়া হবে। ওখানে বসে বসে খৈনি খাবে আর ভোট দেবে। দিল্লির পুলিশ আসা শুরু হয়ে গেছে। বলেই এখনকার বহুচর্চিত সেই স্লোগান দিয়ে বলেন খেলা হবে কিন্তু! খেলা হবে, খেলা হবে পদ্ম ফুলের মেলা হবে। দিদির ভাইদের দেখতে হবে। তোমরা পঞ্চায়েতে খেলেছো। আমরা পার্লামেন্টে খেলেছিলাম, সেমিফাইনাল টা জিতেছি।আর বিধানসভাতে ফাইনাল ম্যাচেও জিতব। তোমাদের দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে হবে এ ভাষাতেই আক্রমণ শানানো তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিকে।

পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে  অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর স্ত্রীকে সিবিআই হাজিরার নোটিশ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, উনাকে নোটিশ দিয়েছে, যা জিজ্ঞেস করবেন উনি বলবেন। এর আগেও অনেক নেতাকে নোটিশ দিয়েছেন। তারা গেছেন, যা জিজ্ঞেস করেছেন বলেছেন। উনার যদি কোন গণ্ডগোল না থাকে, সোজাসুজি গিয়ে বলে আসবে।

অভিষেকেই সিবিআই নোটিশ ধরানো নিয়ে টুইট ভয় দেখানোর চেষ্টা হলে ভয় পাবো না, প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজ্য সভাপতির দাবি, যে ভয় পায় তাকেই ভয় দেখায়। আমাকে ভয় দেখাক, হিম্মত আছে। ভয় পেয়েছেন। আমি  তো বলেছি চোর ধরেছে সিবিআই, ভয় পেয়েছে দিদিভাই। 

এদিন অন্যদিকে বামেদের আক্রমণ করতেও ছাড়েননি এদিন দিলীপ ঘোষ। বামেদের অভিযোগ ভোটের সময় এত তৎপর কেন সিবিআই? প্রসঙ্গে দীলিপবাবুর দাবি,আগে তৎপর হওয়া উচিত ছিল,তবু তো হয়েছে। ওনারাতো বলতেন সিবিআই কাজ করে না। করলেও আবার কষ্ট। এতদিন করেনি করেনি বলছিল। এখন করেছে তো বলছে ভোট। ভোট তো কাজ করবে না বলেই প্রশ্ন ছুড়ে বামেদের দিকে।

সূর্যকান্ত মিশ্রের দাবি বামেদের ব্রিগেড থেকে নজর সরাতেই এই সিবিআই হানা প্রসঙ্গে দীলিপ বাবুর কটাক্ষ, লোকজন আসুক আগে। দোকান তো সব বন্ধ হয়ে গেছে। নিচুস্তরের কর্মীরা হতাশ হয়ে বিজেপিতে জয়েন করে গেছে। লোক আসবে কোথা থেকে, ঝাড়খন্ড থেকে। ওরা লোক করে দেখাক, পার্টিটা বেঁচে আছে তো প্রমাণ করুক কটাক্ষ ছুড়ে দেন দীলিপ ঘোষ।

বাত্য বসুর করা কেন্দ্রীয় বাহিনী কারগিলের যুদ্ধ প্রসঙ্গে দীলিপবাবুর বক্তব্য, যুদ্ধের পরিস্থিতি আছে তো। আজ সারাদেশে উগ্রপন্থী পাওয়া যায় না। বীরভূমে, মালদায়, মুর্শিদাবাদে পাওয়া যাচ্ছে। কেনো পশ্চিমবঙ্গের উগ্রপন্থী পাওয়া যায়? কেনো বিস্ফোরণ হয়, বন্দুক বোমের কারখানা হয়। বিদেশী রোহিঙ্গারা রেশনের চাল, ১০০ দিনের কাজ খেয়ে নিচ্ছে। বাংলার মানুষ মুক্তি চাইছে। মিলিটারিদের দেখে খুশি হয়েছেন। সেটা বাত্য বসুরা বুঝতে পেরেছেন মানুষকে আর ভয় খাওয়ানো যাচ্ছে না বলেও দাবি করেন দীলিপবাবু।

 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।